[caption id="attachment_10860" align="alignnone" width="600"]
মা রেহানা মাসউদের বিয়ে ও বউভাতের শাড়ি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন জয়া আহসান। ইনস্টাগ্রাম থেকে[/caption]
দুই বাংলার নন্দিত অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান এবার ভক্তদের চমকে দিলেন এক অনন্য ফটোশুটে। মা রেহানা মাসউদের বিয়ে ও বউভাতের শাড়ি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন তিনি। ৪৫ বছর আগের সেই শাড়িগুলোতে সোনার সুতোয় কাজ, আর তাতে লুকিয়ে আছে যেন এক চিরন্তন রূপকথা—যা এখনো নতুন বিবাহের গন্ধে ভরপুর। মায়ের শাড়ি পরে ফটোশুট করে জয়া আহসান তা নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
জয়া তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘এই ছবিগুলোতে যে দুটো শাড়ি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বয়স ৪৫ বছর; আসলে এগুলো আমার মায়ের বিয়ের শাড়ি—একটা বিয়ের, একটা বউভাতের। বাবা কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকেই। সোনার সুতোয় কাজ করা এক চিরন্তন রূপকথা, এখনো ঠিক যেন নতুন নতুন বিবাহের গন্ধে ভরপুর।’
[caption id="attachment_10862" align="alignnone" width="600"]
আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন জয়া আহসান । ইনস্টাগ্রাম থেকে[/caption]
জয়া আহসানের ছোটবোন কান্তা মাসউদ। তিনি জানান, মায়ের বিয়ে ও বউভাত আয়োজনের শাড়ি দুটি ঘিরে শৈশবে তাঁর ও বোনের মধ্যে চলত মিষ্টি এক প্রতিযোগিতা। ফেসবুক পোস্টে তাও তুলে ধরলেন জয়া। তিনি লিখেছেন, ‘কিশোরীবেলা থেকে আমরা দুই বোন কী কাড়াকাড়িটাই না করেছি! আমি বলতাম নীলটা আমার, বোনের পছন্দ ছিল টুকটুকে লালটা!’
জয়া আরও লিখেছেন, ‘কখনো কখনো পছন্দ ওলটপালট হতো, কিন্তু পরে বুঝেছি—এই দুটো শাড়ি-ই আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। মৌসুমী ভৌমিকের গানের সেই লাইনটা “কিছু ফেলতে পারি না”—আমার হয়েছে সেই অবস্থা।’
[caption id="attachment_10863" align="alignnone" width="600"]
জয়া আহসানের কাছে এখনো সংরক্ষিত আছে মায়ের সব পুরোনো শাড়ি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম[/caption]
জয়া জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে এখনো সংরক্ষিত আছে মায়ের সব পুরোনো শাড়ি। এসব শাড়ি তিনি সযত্নে আগলে রেখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মায়ের যত পুরাতন শাড়ি, মায়ের বিয়ের শাড়ি, এমনকি আমার জন্মের আগের শাড়িগুলোও রয়ে গেছে আমার কাছে—আলমারির যত্নে, ন্যাপথলিনের রূপকথায় আত্মকথার ইতিহাস। এটা আমার মাতৃতান্ত্রিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মাত্র।’
এতদিন মায়ের বিয়ে ও বউভাত আয়োজনের শাড়িগুলো পরতে পারেননি। এবার সুযোগ হলো, তাই পরে ফটোশুটেও অংশ নিলেন। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়ে ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলো পরে ফটোশুট করে লিখেছেন, ‘হঠাৎ করেই সুযোগ হলো এই দুটো শাড়ি পরার…সুন্দর করে স্টাইলিং করে ছবিগুলো তুললাম। আশা করি, সকলের পছন্দ হবে এই ফটোশুট।’
[caption id="attachment_10864" align="alignnone" width="600"]
এতদিন মায়ের বিয়ে ও বউভাত আয়োজনের শাড়িগুলো পরতে পারেননি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম[/caption]
জয়ার এই পোস্টের পর ভক্তদের প্রতিক্রিয়া উচ্ছ্বসিত। অনেকে লিখেছেন, ‘এ যেন মায়ের ভালোবাসায় মোড়া সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি, কেউ বলেছেন, ‘এটাই প্রকৃত ঐতিহ্যবাহী গ্ল্যামার।’ কাশেম আলী নামের একজন লিখেছেন, তাহলে শাড়িগুলোর বয়স ৪৫–এর বেশি হবে।’ কেউ লিখেছেন, ‘কী সুন্দর ভালোবাসাময় মোহনীয় সৌন্দর্যের আধার।’ মুন তাহা নামের একন লিখেছেন, ‘মায়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ধন্যবাদ।’
![]()