ব্যাংকিং সিস্টেমে প্রবাসীদের অর্থ সুরক্ষিত: কর্তৃপক্ষের ঘোষণা

এ সময় তিনি দেশে-বিদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ ও ইতিবাচক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রচারণা বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় ফিরে এনআরবি সেন্টারের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বার্ষিক সভা উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সাথে সেন্টার ফর এনআরবি প্রতিনিধি দলের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ, বিনিয়োগ এবং সম্পদ সুরক্ষা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে গভর্নর প্রবাসীদের নানামুখী বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং পূণর্গঠিত ব্যাংক কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণের আগ্রহকে স্বাগত জানান। তিনি আশ্বাস দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে ইতিবাচক সহায়তা প্রদান করবে।

সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারম্যান এম এস সেকিল চৌধুরী বৈঠকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের দেশে থাকা সম্পদ রক্ষা এবং পূণর্গঠিত পাঁচটি ব্যাংকে জমা থাকা অর্থের নিরাপত্তা বিষয়ে গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি অভিজ্ঞ প্রবাসীদের বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।

সেকিল চৌধুরী প্রবাসীদের জন্য পূণর্গঠিত ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় পুঁজিসংঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। একইসাথে তিনি দেশে-বিদেশে রেমিটেন্স ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচারণা জোরদার করার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দেশের সম্পদ রক্ষা ও পাচার রোধে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।’

তিনি জানান, ‘পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে প্রবাসীদের সহায়তা কামনা করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রবাসীরা অসৎ কর্মকাণ্ড নিরুৎসাহিত করতে এবং লুটকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন।’ আইনের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান গভর্নর।

তিনি আশ্বস্ত করেন, ‘ব্যাংকে সঞ্চিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থ নিরাপদ রয়েছে।’ এ সময় তিনি দেশে-বিদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ ও ইতিবাচক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রচারণা বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় ফিরে এনআরবি সেন্টারের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন এনআরবি সেন্টারের যুক্তরাষ্ট্র সহায় গ্রুপের সদস্য সানোয়ার চৌধুরী ও নাদির খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক রোকনুজ্জামান।

Scroll to Top