ইভিএমের ভাগ্য নির্ধারণে মাঠ কর্মকর্তাদের মতামত নিচ্ছে ইসি


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প বিলুপ্ত হলেও বিভিন্ন মামলা থাকায় যন্ত্রগুলো নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে ইভিএম-সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বুধবার ইসির যুগ্ম সচিব মঈন উদ্দীন খান এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইভিএম বিষয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় এবং বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত ইভিএমের গোডাউন বা স্পেস ভাড়া-সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণের জন্য তিন ধরনের তথ্য পাঠাতে হবে।

ইসির চাওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে– নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার-সংক্রান্ত কোনো মামলা আছে কিনা। মামলা থাকলে নির্বাচনের নাম, নির্বাচনী এলাকা, নির্বাচনের তারিখ, মামলা-সংক্রান্ত বিবরণ, সংশ্লিষ্ট ইভিএমের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য তথ্য পাঠাতে হবে। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য গোডাউন বা স্পেস ভাড়া-সংক্রান্ত মামলার তথ্য এবং এর জন্য ভাড়াকৃত গোডাউনের বকেয়া থাকলে তার তথ্যও দিতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানোর পর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন ভোটযন্ত্রটি আর কোনো নির্বাচনে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যন্ত্রগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট। কারণ, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে মামলা হয়েছে, যেগুলোতে ইভিএম ব্যবহার হয়। সেই মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যন্ত্রগুলোর ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করতে পারছে না ইসি।

এর আগে সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন দেশে প্রথমবারের মতো যন্ত্রে ভোট নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বুয়েটের কাছ থেকে তৈরি করা সেই যন্ত্র রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নষ্ট হলে পরবর্তী সময়ে ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সেই যন্ত্রের ত্রুটির কারণ নির্ধারণ ও মেরামতে ব্যর্থ হয় ইসি। ফলে পরবর্তী সময়ে উন্নতমানের ইভিএম বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে তৈরি করে নেয় সংস্থাটি। তবে সেই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক মতানৈক্য এবং মেরামতে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের চাপের কারণে সরকার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বন্ধ রাখে।

২৯ কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী হলো
দুই বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ২৯ মাঠ কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী করেছে ইসি। গতকাল বুধবার ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব ইকবাল হোসেন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসি সচিবালয়ের আওতাধীন ২৯ সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী করা হলো। সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে এসব কর্মকর্তা ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যোগদান করেছিলেন। যোগদানের তারিখ থেকেই তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।

Scroll to Top