

জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের হওয়া এই চার মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে। শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক তদন্ত মেহেদী হাসান দৈনিক সত্যের পথকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কেপিআইভূক্ত প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক অনধিকার প্রবেশ, পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যরত পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এনে এই চার মামলা করা হয়েছে। সবগুলো মামলার বাদী পুলিশ। চার মামলায় ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিমন চন্দ্র বর্মন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলায় আসামি করা হয়েছে সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অনিষ্টকারী, সরকারি সম্পদ ক্ষতিসাধনকারী, নাশকতাকারী ও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের লোকজনকে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামানো হয়েছে।
শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে কয়েকশ মানুষ নিজেদের তিনটি দাবি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট টপকিয়ে তারা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং অস্বায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা থেমে থেমে তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের দিকে নিয়ে যায়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
![]()




